

জৈব পদার্থগুলো পচনের ফলে যে বিভিন্ন গ্যাস পাওয়া যায় তার একটি মিশ্রিত রূপ হচ্ছে বায়োগ্যাস এবং সাধারণভাবে কৃষি বর্জ্য, জৈব সার, পৌর বর্জ্য, উদ্ভিদ সৃষ্ট উপকরণ, নর্দমার বর্জ্য, সবুজ বর্জ্য বা খাদ্য বর্জ্য ইত্যাদি কাঁচামাল হতে বায়োগ্যাস উৎপন্ন হয়। বায়োগ্যাস প্লান্ট হতে শুধু যে রান্নার জন্য গ্যাস পাওয়া যায় তাই নয়, এ থেকে শস্য ও মাছের পুকুরের জন্য জৈব সারও মেলে। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইডকল সারাদেশে ৩৩,০০০ বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণে অর্থায়ন করেছে।
সমগ্র গ্রামীণ বাংলাদেশে বায়োগ্যাস নির্মাণের জন্য কতগুলো সক্রিয় কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পোলট্রি বর্জ ভিত্তিক বায়োগ্যাস প্লান্টগুলোই সর্বাপেক্ষা সফল হয়েছে। এগুলো থেকে প্রাপ্ত গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এবং এভাবে প্রাপ্ত গ্যাস দিয়ে সর্বাধিক প্রায় অর্ধ মেগাওয়াট পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে।
বায়োগ্যাস কর্মসূচীটি শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে এবং হাজার হাজার পারিবারিক ডাইজেস্টার স্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু মোট কারখানার সংখ্যা ১০০,০০০ এর চেয়েও কম।